নামেই লকডাউন, কাজে নেই!

মোঃ এনামুল হক আবির ◑

যদিও কাগজে কলমে কক্সবাজার জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগে।কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। প্রতিটি স্টেশন, বাজার, মসজিদ মানুষে ভরপুর। কোথায় ঘরে থাকা,কোথায় সামাজিক দূরত্ব আর কোথায় মাস্ক পরা।দেখে মনেই হয়না যে দেশে করোনা মহামারীর কারণে লকডাউন চলতেছে।মানুষজন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেছে।

প্রশাসনের নেই কঠোর নজরদারি। যদি থাকত এমনতো হওয়ার কথা না!!লকডাউনের মাঝে কীভাবে আক্রান্ত এলাকা থেকে কাজ করার জন্য শ্রমিক আসে আর এলাকায় অবাধে চলাফেরা করে!কীভাবে এখনো উখিয়ার বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকরা জেলার বাইরে কাজ করতে যায়!আর কাজ করে এলাকায় ফিরে আসে!

এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ও আমার জানামতে এলাকার প্রায় ১০০ জন শ্রমিক কাজের তাগিদে চকরিয়া মহেশখালী সহ করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে।তারা কিছুদিন পর পর বাড়িতে আসে আবার কিছুদিন বাড়িতে থাকার পর প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাজ করতে চলে যায়।

এসব ঘটনা কি ইঙ্গিত দেয় আমাদের!জেলার করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এই ঢিলেঢালা লকডাউন চলতে থাকলে সামনের পরিস্থিতি কি হবে একমাত্র আল্লাহ ভাল জানেন।

তাই প্রশাসনের ভাইদের প্রতি সবার অনুরোধ, দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে বিশেষ করে আমার উখিয়া উপজেলার প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ আপনারা আরেকটু কঠোর হোন।দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আপনারাই দ্বিতীয় সারির যোদ্ধা। আপনারাই পারেন দেশকে এই মহারারী থেকে থেকে মুক্ত হতে সহায়তা করতে।

আমরা বাঙালিরা কখনো স্ব-ইচ্ছায় আইন কানুন মানিনা।মানতে বাধ্য করতে হয়।আপনারাই পারেন অসচেতন ব্যক্তিদের সচেতন করে নির্দেশনা মানতে বাধ্য করতে।

আসুন,সবাই সচেতন হই।
করোনা প্রতিরোধ ঘরে থাকি।
নিজে নিরাপদে থাকি,পরিবারকে নিরাপদে রাখি।✌